প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: ' বৃষ্টিপাত কমলেও উন্নতি হয়নি সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির। উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। সেই সঙ্গে অবনতি হয়েছে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির।
- গতকাল নতুন করে বন্যাকবলিত ছয় উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গতকাল সিলেটে খুব বেশি বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে উজানে ভারতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, ধলাই, খোয়াইসহ সবকটি নদীর পানি বেড়েছে। সুরমা ও লোভা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে কানাইঘাট উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আগের দিন অবস্থা অনেকটা অপরিবর্তিত থাকলেও গতকাল পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে গৌরীপুর থেকে কুওরঘড়ি এলাকা পর্যন্ত সুরমার ডাইকে দেখা দেওয়া বিভিন্ন ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ফলে নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
* সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি রয়েছেন। সিলেট জেলা সদরের সঙ্গে কানাইঘাট উপজেলার প্রধান সড়ক দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
' সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের মিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার সুরমা, যাদুকাটা ও রক্তি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ঢলে অনেক হাওরে আবাদ করা উন্নত জাতের ধান তলিয়ে গেছে। বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।'
/ সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি /
* পাউবো জানায়, সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৭২, যা বিপৎসীমা থেকে ৮ সেন্টিমিটার কম। সদর উপজেলার খরচার হাওরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাওরের উঁচু এলাকায় আবাদকৃত উন্নত জাতের পাকা ও আধা-পাকা ধান ঢলের পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি বেশি থাকায় কৃষকরা ধান কেটে নিয়ে আসার আশাই ছেড়ে দিয়েছেন। হাওর তলিয়ে যাওয়া শুরুর সময় যেটুকু ধান কাটতে পেরেছেন সেই ধান মাড়াই করছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, হাওরে আবাদকৃত উন্নত জাতের ধানের চার ভাগের তিন ভাগ বন্যায় তলিয়ে গেছে। কৃষক মো. হাছান আলী বলেন, আকস্মিক ঢলের পানি আসায় বুঝে ওঠার আগেই খরচার হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে। পানির চাপ অতিরিক্ত। কিছুতেই ধান কাটা যাচ্ছে না। আমি এক মুষ্টি ধানও কাটতে পারিনি।
' সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, পাহাড়ি ঢলে জেলায় ২০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।'